ঢাকা, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫

৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

এ বছর ২শ’ টন বীজ ধান সরবরাহ করবে বাকৃবি

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২২:৩৮, ৪ মে ২০২৫ | আপডেট: ২২:৩৮, ৪ মে ২০২৫

এ বছর ২শ’ টন বীজ ধান সরবরাহ করবে বাকৃবি

চলতি বছর দুইশ’ টন মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদিত এসব বীজ ধান বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এবং বিএডিসির মাধ্যমে সারাদেশে সরবরাহ করা হবে।

আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের খামার ব্যবস্থাপনা শাখার উদ্যোগে ‘বোরো বীজ ধান কর্তন- ২০২৫’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একে এম ফজলুল হক ভূঁইয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

বাকৃবির প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় এতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.  হুমায়ুন কবিরসহ অন্যান্য আমন্ত্রিত কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

প্রধান খামার তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জিয়াউর রহমান বলেন, চলতি বছর ১৫৯ একর জমিতে বীজ ধান কর্তন করা হবে। এর মধ্যে ব্রি-২৯, ব্রি-৭৮, ব্রি-৮৮, ব্রি-৮৯, ব্রি-৯২, বিনা-১০, বিনা-২৫ ও বিনা-২৮ জাতের ধান আবাদ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ বছর ২০০ টন মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। উৎপাদিত এসব বীজ ধান বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এবং বিএডিসির মাধ্যমে সারাদেশে সরবরাহ করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে-ধান, শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মুরগিসহ কৃষির প্রতিটি খাতেই উৎপাদন বৃদ্ধি ও গবেষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়কে কৃষি উন্নয়নের একটি মডেল হিসেবে গড়ে তোলা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব জমির মালিকানা বিশ্ববিদ্যালয়েরই এবং সেগুলো প্রয়োজন ও পরিকল্পনার ভিত্তিতে বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ বা খামারকে বরাদ্দ দেওয়া হয়। এই জমিগুলো কোনো ব্যক্তির জন্য নয়- শুধু শিক্ষা, গবেষণা ও উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে ব্যবহৃত হবে।’

তিনি বলেন, যেসব জমি বা পুকুর বর্তমানে পতিত পড়ে আছে বা গবেষণায় ব্যবহৃত হচ্ছে না, সেগুলো খুব দ্রুত চিহ্নিত করে তালিকাভুক্ত করা হবে। এরপর সেগুলো পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল উৎপাদন ও গবেষণামূলক কার্যক্রমে যুক্ত করা হবে। ব্যক্তিগত স্বার্থে বা বহিরাগতদের অনুকূলে কোনো জমি ব্যবহারের সুযোগ নেই। গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উৎপাদন এই তিনটি ক্ষেত্রেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি সর্বোচ্চভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন