ঢাকা, রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

এক বছরে বাংলাদেশের ৩৬ কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১:৩৮, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৬, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

এক বছরে বাংলাদেশের ৩৬ কারখানা পেল পরিবেশবান্ধব সনদ

আবারও বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প। ২০২৫ সালে ৩৬টি কারখানা অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃত পরিবেশবান্ধব সনদ। যা এক বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অর্জন। যা পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উৎপাদনে বৈশ্বিক নেতৃত্বকে আরও দৃঢ় করেছে।

এর আগে ২০২২ সালে ৩০টি কারখানা এ সনদ পেয়েছিল। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে গার্মেন্ট শিল্প। আর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ২৬৮টি কারখানা পেয়েছে লিড সার্টিফিকেট।

বিজিএমইএর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ২২টি কারখানা পেয়েছে সর্বোচ্চ ‘প্লাটিনাম’ সনদ। বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি উচ্চ রেটিং পাওয়া লিড সার্টিফায়েড কারখানার মধ্যে ৬৮টিই বাংলাদেশের। এই অর্জন বাংলাদেশের পোশাক খাতকে টেকসই উৎপাদনে বৈশ্বিক মানদণ্ডে নিয়ে গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এ পরিবেশবান্ধব সনদ দেওয়া হয়। এ সনদ পাওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে কিছু শর্ত পরিপালন করতে হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ শর্তের কিছু পরিবর্তনও হয়। পাশাপাশি সনদের আলাদা সংস্করণও থাকে। মোট ১১০ নম্বরের মধ্যে কোনো কারখানা ৮০-এর বেশি পেলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ পেলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ নম্বর পেলে ‘লিড সিলভার’ ও ৪০-৪৯ নম্বর পেলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ দেওয়া হয়।

বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ২৬৮টি লিড সার্টিফায়েড কারখানার মধ্যে ১১৪টি প্লাটিনাম ও ১৩৫টি গোল্ড সনদপ্রাপ্ত। অর্থাৎ বাংলাদেশের কারখানাগুলো সর্বোচ্চ মানের পরিবেশবান্ধব কারখানার শর্ত পূরণ করতে পারছে। বাকি ১৯টি কারখানার মধ্যে সিলভার সনদপ্রাপ্ত কারখানা ১৫টি ও সার্টিফায়েড সনদপ্রাপ্ত কারখানা ৪টি।

বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক ও ডেনিম এক্সপার্ট লিমিটেডের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, এই অর্জন বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশবান্ধব উৎপাদনের প্রতি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। আমরা এখন বিশ্বের কাছে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন