ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১:২২, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:২২, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
গত পাঁচ মাস ধরে সরকারের ব্যাংকঋণ নেওয়ার প্রবণতা ছিল খুবই সীমিত। তবে মাত্র ১৪ দিনের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে ৩৩ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা। নির্বাচনী ব্যয় এবং নতুন 'সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের' মূলধন সহায়তায় অর্থ ছাড়ই এর মূল কারণ বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের মোট ঋণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। অথচ মাত্র দুই সপ্তাহ আগে সরকারের নিট ব্যাংক ঋণ ছিল ১১ হাজার ৬৯৭ কোটি টাকা।
চলতি অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ দশমিক শূন্য ৪ লাখ কোটি টাকা, যার প্রায় ৪৩ শতাংশ ইতিমধ্যে নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকাররা জানান, পাঁচটি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক একীভূতকরণে ভর্তুকি ও নির্বাচনকালীন ব্যয়ের কারণেই ঋণের পরিমাণ দ্রুত বেড়েছে। এ ছাড়া ট্রেজারি বিল ও বন্ড নিলামের মাধ্যমেও অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকারের ব্যাংকঋণ ছিল খুবই সীমিত। তবে পরবর্তী দুই সপ্তাহেই পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আসে।
এক মাস আগেও, ১ জুলাই থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে তফসিলি ব্যাংকগুলো থেকে সরকারের নিট ঋণ ছিল মাত্র ৯,৭০৪ কোটি টাকা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নিট ঋণ ছিল ১,৯০১ কোটি টাকা।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন