ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪:০২, ১৭ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১৪:০২, ১৭ জুন ২০২৫
ফাইল ছবি
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, সাবেক সরকারের শাসনামলে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহায়তা করছে যুক্তরাজ্য। আশা করছি, একটি ভালো পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ১০ জুন থেকে ১৩ জুন লন্ডন সফরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, `পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারের জন্য যুক্তরাজ্যের সাথে নিবিড় আলোচনা করছে সরকার। তারা নথিপত্র তৈরিতেও আমাদের সহায়তা করছে।`
গভর্নর বলেন, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশের কাছ থেকে পারস্পরিক আইনি সহায়তার অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। `এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে পাচারকারীদের সম্পত্তি এবং লুট করা অর্থ সম্পর্কে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। এসব তথ্যের ভিত্তিতে বিদেশি কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়।`
সম্প্রতি, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর যুক্তরাজ্যে ১৭০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পত্তি জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে। গত মাসে দেশটিতে বেক্সিমকো গ্রুপের শায়ান রহমান এবং শাহরিয়ার রহমানের ৯০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ জব্দ করা হয়।
মনসুর বলেন, `আমরা অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা করছি। আশা করছি, একটি ভালো পরিমাণ অর্থ উদ্ধার করা যাবে।`
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মামলা-মোকদ্দমায় দক্ষ আইনি সংস্থাগুলো সম্পদ পুনরুদ্ধারের জন্য ৫০ মিলিয়ন থেকে ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। মামলার তহবিলদাতারা হচ্ছেন তৃতীয় পক্ষ, তারা মামলার সাথে সম্পর্কিত আইনি খরচ নির্বাহ করতে এবং মামলার মাধ্যমে পুনরুদ্ধার হওয়া অর্থের একটি অংশের বিনিময়ে মামলাকারীকে আর্থিক সহায়তা করে থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ এই উদ্যোগের অংশ হিসাবে একটি তহবিল গঠনের কথা বিবেচনা করবে, পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী আইনি সংস্থাগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহ করবে।
তিনি আরও বলেন, `তারা (আইনি সংস্থাগুলো) উদ্ধারকৃত অর্থের ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পাবে। তবে কি পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হবে তার ভিত্তিতে এটি চূড়ান্ত হবে।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন