ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০:০৮, ১৫ মে ২০২৫ | আপডেট: ২০:১৩, ১৫ মে ২০২৫

মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রপ্তানিতে অগ্রাধিকার পাবে বাংলাদেশ

মালয়েশিয়ায় লোক নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেওয়ং। তিনি বলেছেন, এখন থেকে বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি লোক নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় এসব কথা জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা। গত ১৩ মে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার নিয়ে আলোচনা করতে আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকারের একটি প্রতিনিধিদল দেশটি সফর করছে।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ থেকে সব রিক্রুটিং এজেন্সি যাতে কর্মী পাঠাতে পারে, সেই সুযোগ করে দিতে দেশটিকে অনুরোধ করা হয়েছে। তারা এটি ভালোভাবে বিবেচনা করে দেখবেন এবং অচিরেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

ভিডিও বার্তায় উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, প্রথম দফায় ৭ হাজার ৯২৬ জন কর্মীকে নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে বৈঠকে জানানো হয়েছে। প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাঁদের মালয়েশিয়ায় কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশ থেকে নিরাপত্তাকর্মী, নার্স, কেয়ারগিভারসহ দক্ষ কর্মী নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে, তারা আশাবাদী। 

প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনায় এটা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। যারা মালয়েশিয়ায় আসতে চান, তাঁদের জন্য সত্যিকারের কল্যাণকর কিছু করাই সরকারের লক্ষ্য, জানান বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা।

আসিফ নজরুল বলেন, বাংলাদেশি শ্রমিকেরা সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পান। তাদের যেন অন্য দেশের শ্রমিকের মতো মাল্টিপল ভিসা দেওয়া হয়, সে অনুরোধ দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে করা হয়েছে। এটা নিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়েছে। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে তাৎক্ষণিকভাবে তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভিডিও বার্তায় তিনি আরও জানান, বাংলাদেশি যেসব শ্রমিক অবৈধ হয়ে গেছেন, তাদের বৈধ করে দিতে বৈঠকে অনুরোধ করেছেন। এর জবাবে তারা বলেছেন, এটা মাঝেমধ্যে করা হয়; সর্বশেষ গত বছর করা হয়েছিল। তবে যাদের ভিসার মেয়াদ নেই, তাদের ক্ষেত্রে এটা করা যায় না। তাদেরও বিবেচনায় নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। অনেক সময় নিয়োগকর্তার কারণে শ্রমিকেরা ভিসা নবায়ন করতে পারেন না। তারা এটা বিবেচনা করে দেখবেন।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন