ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮:১৮, ৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৮:১৯, ৬ জুলাই ২০২৫
তৈরি পোশাক খাতের পর বাংলাদেশে রপ্তানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস চামড়া। সদ্য বিদায়ী অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ডলার। এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ১০ শতাংশের বেশি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি হয়েছিল ৩ হাজার ৯৩৪ কোটি ডলার। দুই অর্থবছর আগে শুধু চামড়া থেকে রপ্তানি হয়েছে ১২ কোটি ৮২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে হয়েছিল ১৪ কোটি ২৫ লাখ ডলার।
বিদায়ী অর্থবছরে চামড়া ফুটওয়্যার থেকে রপ্তানি হয় ৬৭ কোটি ২০ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরে হয়েছিল ৫৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ থেকে ১২ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, চামড়া খাতে সিইটিপির বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সাভারে স্থাপিত সিইটিপির ক্যাপাসিটি বর্তমানে ১৪ হাজার কিউবিক মিটার এবং পিকসিজনে (কোরবানির সময়) এ খাতে চাহিদা থাকে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার কিউবিক মিটার।
জানা গেছে, সিইটিপির সক্ষমতা ২০ থেকে ২৫ হাজার কিউবিক মিটারে উন্নীতকরণে একটি টেকনিক্যাল টিম কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ইটিপি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আরও ৮ থেকে ১০টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমোদন প্রদানের প্রক্রিয়া চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তৈরি পোশাক খাতের মতো আর্থিক প্রণোদনা ও নীতি-সহায়তা প্রদান করলে ২০৩০ সালের মধ্যে এ খাতে বার্ষিক ৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি সম্ভব। ২০৩৫ সালে যা ২১০ বিলিয়নেও উন্নীত হতে পারে। চামড়া খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ফান্ড থেকে আর্থিক সহায়তা প্রাপ্তিতে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তারা।
সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তারা বলছেন, কমপ্লায়েন্স বা যথাযথ মান প্রতিপালন করতে পারলে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই রপ্তানি খাত আবার ফিরে পাবে হারানো গৌরব। বাড়বে রপ্তানি, চাঙা হবে দেশের অর্থনীতি।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন