ঢাকা, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১:১৩, ১০ মে ২০২৫ | আপডেট: ১১:১৩, ১০ মে ২০২৫

কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এবং বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২ এর আর্টিকেল ৭এ(ই) অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যতম মুখ্য কাজ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক হিসেবে দেশের মুদ্রার ব্যবস্থাপনা। বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের জনসাধারণের লেনদেনের সুবিধার্থে বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিচ্ছন্ন নোট ও মুদ্রা সরবরাহ নিশ্চিত করে। স্বাধীনতার পর দেশের মুদ্রার নামকরণ করা হয় 'টাকা'।

স্বাধীনতার মাত্র তিন মাসের মধ্যে জরুরিভিত্তিতে ভারতের সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস হতে ছাপানো ১ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নোট ৪ মার্চ, ১৯৭২ তারিখে বাংলাদেশের নিজস্ব কারেন্সি হিসেবে অবমুক্ত করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের নিদর্শন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরা হয়। এ নোটগুলোর প্রতিটিতেই স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র মুদ্রিত ছিল। এরপর ২ মে ১৯৭২ তারিখে ১০ টাকা মূল্যমানের নোট এবং ২ জুন ১৯৭২ তারিখে বাজারে আসে মানচিত্র সম্বলিত ৫ টাকা মূল্যমানের নোট। সে সময়ে ১ মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার মূল্যমান ৭.৫ থেকে ৮ টাকার মধ্যে নির্ধারণ করা হয়।

ভারতের নাসিক থেকে ছাপানো নোটগুলোতে নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্যের ঘাটতি থাকায় ব্যাপকহারে জাল মুদ্রা ছড়িয়ে পড়তে থাকে। এতদ্প্রেক্ষিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে ১৯৭৩ সালের ৩ মার্চ অর্থসচিবের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ভারত হতে মুদ্রিত ও প্রাথমিক পর্যায়ে চালুকৃত জলছাপবিহীন এবং বাংলাদেশের মানচিত্রের রূপরেখা সম্বলিত ১০০, ১০ ও ৫ টাকা মূল্যমানের ব্যাংকনোট ১৯৭৩ সালের ১ মে থেকে অচল ঘোষণা করা হয় এবং ১৯৭৩ সালের ১৬ -৩১ মে পর্যন্ত শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়া অফিস থেকে সেসব নোটের বিনিময়মূল্য প্রদান করা হয়।

১৯৭৩ সালের ৩১ মে তারিখের পর অচল নোটের বিনিময়মূল্য দেওয়ার বিষয়ে সরকার সংশ্লিষ্ট আদালত বা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে উপযুক্ত প্রমাণ দেখানোর পর বিবেচনা করা হবে মর্মে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। ভারত হতে মুদ্রিত ১ টাকা মূল্যমানের মানচিত্র সিরিজের নোটটি ৩০ মার্চ ১৯৭৪ তারিখ হতে অচল ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ১ পয়সার ধাতব মুদ্রা ১৫ জুলাই ১৯৭৪ তারিখে, ৫ ও ১০ পয়সার ধাতব মুদ্রা ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ তারিখে, ২৫ পয়সার ধাতব মুদ্রা ১৫ নভেম্বর ১৯৭৩ তারিখে, ৫০ পয়সার ধাতব মুদ্রা ২ ডিসেম্বর ১৯৭৪ তারিখে, ১ টাকা মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা ২২ ডিসেম্বর ১৯৭৫ তারিখে সর্বপ্রথম প্রচলনে দেয়া হয়।

ইংল্যান্ডের থমাস ডিলারু হতে ছাপানো নতুন ১০০ টাকা মূল্যমান নোট ১ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ সালে প্রচলনে দেয়া হয়। ১৯৭৪-৭৫ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেকগুলো কঠিন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়। প্রতিক‚ল অবস্থা দূর করে অর্থনীতিকে দৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে সরকারের সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব্যাংক নিরলস প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে। স্বাধীনতার সময় থেকে চলে আসা মুদ্রাস্ফীতির চাপ সে বছরের প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি সঙ্কট এবং উন্নত দেশসমূহে প্রধানত তেলের মূল্যবৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। ফলে টাকার মূল্যমান আশঙ্কাজনকভাবে হ্রাস পায় এবং দেশের অভ্যন্তরে দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। 

বছরের প্রথম দিকে ব্যাপকহারে অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার অপ্রতুলতার কারণে আমদানি হ্রাস, বন্যার ফলে সৃষ্ট খাদ্য ঘাটতি, অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যাংকঋণের ব্যবহার এবং আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য ও তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমাবনতির দিকে ধাবিত হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার এই যে, মূল্যস্ফীতিজনিত মুনাফা অর্জনের প্রত্যাশায় দেশে ব্যাংকঋণের একটা অংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্য মজুদের কাজে ব্যবহৃত হতে থাকে। অনুৎপাদনশীল খাত এবং ফটকা ব্যবসায়ে ব্যাংক ঋণের ব্যবহার বন্ধ করে উৎপাদনের ক্ষেত্রে অধিকহারে ঋণ জোগান দেওয়ার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৯৭৪ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর মাসে পর্যাক্রমে কতিপয় বিশেষ ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। একই উদ্দেশ্যে ১৯৭৪ সালের জুলাই মাসে ব্যাংকের সুদের হার বাড়ানো হয়েছিল। লক্ষণীয় বিষয় এই যে, স্বাধীনতার পর থেকে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত ব্যাংকের সুদের হার অপরিবর্তিত ছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে ব্যাংকঋণ এবং অর্থ সরবরাহ ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিক শেষে ব্যাংকঋণের পরিমাণ ৫৪.৪৫ কোটি টাকা হ্রাস পেয়ে ৯০৮.৪৩ কোটি টাকা দাঁড়ায়। একইভাবে, উক্ত সময়ে অর্থ সরবরাহ ৪৮.১৩ কোটি টাকা হ্রাস পায়। 

এ সময়ে সার্বিক অর্থনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশের অর্থনীতিতে একটা সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন সাধনের উদ্দেশ্যে সরকার বাংলাদেশ
ব্যাংকের পরামর্শμমে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রথমত, বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং কন্ট্রোল বিভাগ (বিসিডি) এর ০৬/০৪/১৯৭৫ তারিখের সার্কুলার অনুযায়ী ১৯৭৫ সালের ৭ এপ্রিল ইতিপূর্বে প্রচলিত সকল ১০০ টাকার নোট অচল ঘোষণা করা হয় (অচল ঘোষিত নোটের বিনিময়মূল্য প্রত্যর্পণ সম্পর্কিত ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময়ে প্রচারিত সরকারি সিদ্ধান্তসমূহের পুনরাবৃত্তি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবের স্বাক্ষরে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়)। দ্বিতীয়ত, ১৯৭৫ সালের মে মাসে টাকার মূল্যমান পুনর্নির্ধারণ করা হয়। বিশেষ কিছু পরিস্থিতির কারণে এই ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা প্রয়োজন হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের থমাস ডিলারু হতে মুদ্রিত নতুন ও উন্নত নিরাপত্তার ১০০ টাকা মূল্যমানের নোট ১ মার্চ ১৯৭৬ সালে প্রচলনে দেয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের পরিচালনাগত কাঠামো
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত কার্যাবলি ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। দ্রুত লেনদেনের মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনীতিতে গতি সঞ্চারের লক্ষ্যে একটি আধুনিক ও নিরাপদ পেমেন্ট সিস্টেম গড়ে তোলা ও এর সুবিধা অংশগ্রহণকারী ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই বিভাগ নিম্নলিখিত শাখায় বিভক্ত হয়ে কাজ করে:

প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং শাখা
বাংলাদেশের জন্য বিভিন্ন ধরনের নোট ছাপানো এবং মুদ্রা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা এই শাখার অন্যতম প্রধান কাজ। এই শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসের কারেন্সি অফিসারের সহায়তায় দেশের নোট ও মুদ্রার বার্ষিক চাহিদা ও এর গতিপ্রকৃতি নিরূপণপূর্বক প্রাক্কলিত চাহিদার বিপরীতে দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর সহায়তায় নোট মুদ্রণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রার কারিগরি স্পেসিফিকেশন প্রণয়নের কাজটি উক্ত শাখা কর্তৃক সম্পাদন করা হয়। ব্যাংক নোট এবং মুদ্রা ইস্যু বা ডিজাইন পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্যাদি প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জনসাধারণকে অবহিত করে থাকে। বিভিন্ন ব্যাংক নোট, স্মারক নোট এবং মুদ্রার ডিজাইন চূড়ান্ত করা এই শাখার কাজ। এই কাজে ডিজাইন অ্যাডভাইজরি কমিটির সুপারিশ বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই শাখা প্রিন্টিং এবং মিন্টিংয়ের কাজে ব্যবহৃত কাঁচামাল আমদানি এবং এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যয় নির্বাহ করে থাকে। তাছাড়া দি সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর মূলধন সংস্থানসহ এর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে।

ইস্যু অ্যাডমিনিস্ট্রেশন শাখা
এই শাখা ক্যাশ ডিপার্টমেন্টের কার্যপ্রণালি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া বিভিন্ন অফিসে সরবরাহকৃত ‘কোড বুক’ এর সংশোধনী করে থাকে। ক্যাশ ডিপার্টমেন্টের সুরক্ষার যাবতীয় ব্যবস্থা এই শাখা করে। নোট গণনা, বাছাই প্রক্রিয়া সুচারুভাবে সম্পাদনের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকে। বিভিন্ন অফিসের ক্যাশ ডিপার্টমেন্টে ব্যবহৃত নোট মেজারমেন্ট, কাউন্টিং, সর্টিং, ব্যান্ডিং, স্ট্র্যাপিং ও শ্রেডিং মেশিনসহ অন্যান্য মেশিন এই শাখা সরবরাহ করে। এই শাখা এই বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ কর্তৃক জব্দকৃত স্বর্ণবার/স্বর্ণালংকার, রৌপ্য ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতব অলংকারসমূহ বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে সংরক্ষণ এবং এসকল ধাতু/অলংকার ফেরত, বিক্রয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভে স্থানান্তর সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করে। সোনালী ব্যাংকের চেস্টের ভল্ট লিমিট বর্ধিতকরণ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের স্থান বর্ধিতকরণের কাজটিও এই শাখা করে থাকে। শাখাটি পরিদর্শন টিম কর্তৃক ক্যাশ ডিপার্টমেন্টের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বা অনিয়মের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে থাকে।

ইস্যু অ্যাকাউন্ট শাখা
এই শাখার একটি প্রধান কাজ হল ত্রুটিযুক্ত নোটের বিনিময়মূল্য বিষয়ক নীতি প্রণয়ন করা। ছেঁড়া বা অন্য কারণে অনুপযুক্ত নোট সার্কুলেশনের বাইরে রাখাও এই শাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই শাখা সারা দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখে। বাতিল ও নরম নোটের পাঞ্চিং এবং বিনষ্টকরণ বিষয়ক নীতিমালা এই বিভাগ প্রণয়ন করে। ত্রুটিযুক্ত নোটের প্রবিধি বিষয়ে এই শাখা কাজ করে এবং চেস্ট, ভাউচার বা সরকারি ড্রাফটের অনিয়ম চিহ্নিত করে। কারেন্সি ইস্যু সংক্রান্ত তথ্যাদি সংরক্ষণের কাজটিও অত্র শাখা সম্পাদন করে থাকে।

সেল ফর প্রিভেনশন অ্যান্ড এক্সামিনেশন অব ফেইক অ্যান্ড ডিমনেটাইজড নোটস এই সেল জাল টাকা প্রতিরোধে দ্বিমাসিক সভার আয়োজন করে এবং সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও করে থাকে। জাল নোট প্রতিরোধে তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানও এর কাজ। এই সেল তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ভল্টে জাল টাকার প্রবেশ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পরিদর্শন কার্য চালিয়ে থাকে। প্রকৃত ব্যাংক নোটের নিরাপত্তাজনিত বিষয়গুলো সম্পর্কে সর্বসাধারণের অবগতি ও সচেতনতার জন্য গণমাধ্যমে এ বিষয়ক প্রচারণা চালানো সেলের আরেকটি কাজ। এই সেল বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে জাল নোট চিহ্নিতকরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

গভর্নমেন্ট ট্রেজারি মুভমেন্ট শাখা
মুদ্রা পরিবহন সংক্রন্ত বিল, ব্যাংকের নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাপনা এবং এ সংশ্লিষ্ট কার্যাদি এই শাখা করে থাকে। এই শাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসে মুদ্রা ঠিকাদার নিয়োগ অনুমোদনের কাজটি করে।

জেনারেল শাখা
এই শাখা অভ্যন্তরীণ প্রশাসন, প্রায়োগিক প্রশিক্ষণের আয়োজন, কার্যক্রমের মাসিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করে। তা ছাড়া ছুটি ও স্টেশনারির রেকর্ড রাখা, বিভিন্ন যোগাযোগ বজায় রাখা এবং বিবিধ কার্য সম্পাদন করে।

স্পেশাল ইন্সপেকশন স্কোয়াড অ্যান্ড চেস্ট ইন্সপেকশন মনিটরিং
এই সেল সোনালী ব্যাংকের ট্রেজারি ব্রাঞ্চে স্পেশাল ইন্সপেকশন পরিচালনা করে। মতিঝিল অফিসের চেস্ট ইন্সপেকশন সেল চেস্ট ইন্সপেকশন করে। তারা এই ইন্সপেকশন রিপোর্ট এই সেলে দাখিল করে।

সূত্র: বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাস

এএ

 

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন