ঢাকা, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭:৪৪, ১১ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৪৪, ১১ মে ২০২৫

বেসরকারি ব্যাংক সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে, অধ্যাদেশ জারি

দেশে ব্যাংক খাতের স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন করে আরও কঠোর ও সুসংগঠিত পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন জারি করা অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে কোনও ইসলামি ধারাসহ যেকোনও তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নিতে পারবে।

শুক্রবার (৯ মে), ছুটির দিনে এ লক্ষ্যে ৬৭ পৃষ্ঠার ব্যাংক রেজুলেশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়েছে । এর আগে ১৭ এপ্রিল উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশটির খসড়া অনুমোদন করে।

নতুন বিধানে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে কোনও ইসলামি ধারাসহ যেকোনও তফসিলি ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নিতে পারবে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক বা একাধিক শেয়ার হস্তান্তর আদেশ জারি করতে পারবে। তবে শেয়ার গ্রহণকারী অবশ্যই সরকারি মালিকানাধীন কোনও প্রতিষ্ঠান হতে হবে।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, কোনও ব্যাংকের মালিকানা যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যাংকের সম্পদ অপব্যবহার করে, বা প্রতারণার আশ্রয় নেয়—তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই ব্যাংকের বিরুদ্ধে রেজুলেশনের মাধ্যমে যেকোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে। প্রয়োজনে ওই ব্যাংকে অস্থায়ী প্রশাসক নিয়োগ, মূলধন পুনঃবিনিয়োগ, সম্পদ ও শেয়ার তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তর এবং কার্যক্রম আংশিক বা পুরোপুরি স্থগিত করার সুযোগও থাকবে।

অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক যদি মনে করে, কোনো ব্যাংক আর কার্যকর নয় বা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই, দেউলিয়া হয়ে গেছে বা দেউলিয়া হওয়ার পথে, আমানতকারীদের পাওনা দিতে পারছে না বা না দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তখন এ ধরনের ব্যাংকের ভালো করার স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। 

নতুন অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক এখন আলাদা বিভাগ গঠন করবে। যা অধ্যাদেশেই বলা রয়েছে।

এদিকে ব্যাংক খাত সংকট ব্যবস্থাপনা কাউন্সিল নামে সাত সদস্যের আন্তপ্রাতিষ্ঠানিক সংস্থা গঠনের কথা বলা হয়েছে অধ্যাদেশে। উপদেষ্টা পরিষদ ছয় সদস্যের সংস্থা গঠনের কথা বললেও পরে এক সদস্য বাড়ানো হয়েছে। এই কাউন্সিল সংকট ব্যবস্থাপনা কৌশল ও আপৎকালীন বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করবে।

কাউন্সিলের প্রধান হবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর। আরও থাকবেন অর্থসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান, লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক সচিব, রেজল্যুশনের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর ও গভর্নরের মনোনীত আরেকজন ডেপুটি গভর্নর। 

কাউন্সিল প্রতি তিন মাসে একটি করে বৈঠক করবে।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

আরও পড়ুন