ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১০:৫০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১০:৫০, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বেসরকারি খাতের ৫টি ইসলামী ব্যাংকের একীভূতকরণের সিদ্ধান্ত কেন বেআইনি ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি এসকে তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
৫ ব্যাংক হলো- ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও এক্সিম ব্যাংক।
এই পাঁচ ব্যাংকের কয়েকজন সেকেন্ডারি শেয়ারহোল্ডার হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। তারা হলেন- মো. শাহ আলম বাবু, মো. আফসার উদ্দিন সরকার, মো. সিদ্দিকুর রহমান (লিটন), মো. মুস্তাইন বিল্লাহ, মার্ক লয়েড গোমেজ, মো. আব্দুল কাদের সরকার এবং এম এ সাইদুর রহমান।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম ও ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আরশাদুর রউফ।
পরে ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর ১৬(এম), ২৮(৬), ২৮(৭) এবং ৩০, ৩১, ৩৩, ৩৪, ৩৬, ৪৮, ৪৯, ৫০ ও ৫১ ধারা কেন সংবিধানের ২৭, ৩১, ৪০ ও ৪২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—রুলে আদালত তা জানতে চেয়েছেন।
উল্লেখ্য, দুর্বল পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে সপ্তাহব্যাপী শুনানির আয়োজন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আর একীভূত করে গঠিত হতে যাওয়া ‘ব্রিজ ব্যাংক’-এর পক্ষে এখন পর্যন্ত সমর্থন জানিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
তবে এক্সিম ব্যাংক এই প্রক্রিয়ায় এখনই অংশ নিতে রাজি হয়নি। ব্যাংকটির পর্ষদ জানিয়েছে, তাদের অন্তত দুই বছর সময় প্রয়োজন।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন