ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯:২৭, ১২ মে ২০২৫ | আপডেট: ২২:৩৮, ১২ মে ২০২৫
বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের ক্ষেত্রে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে বার্ষিক ভ্রমণ কোটার বাইরে চিকিৎসার জন্য বছরে সর্বোচ্চ সীমা বাড়িয়ে ১৫ হাজার ডলার করা হয়েছে। এর সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি লাগবে না।
আজ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়।
এতদিন বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ১০ হাজার ডলার।
ভ্রমণ কোটায় এমনিতেই একজন বছরে ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারেন। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতির দরকার হয় না। ব্যাংকগুলোই এ পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা এনডোর্স করতে পারে। এর বাইরে চিকিৎসা বাবদ ব্যয় সীমা ১০ হাজার ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার করা হলো।
কারও চিকিৎসায় এর বেশি অর্থ প্রয়োজন হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নিতে হবে। তবে চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যয়ের পক্ষে প্রমাণ থাকতে হবে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, সরাসরি হাসপাতালের নামে বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় কিংবা আন্তর্জাতিক কার্ডের বিপরীতে অর্থ ছাড় করতে পারবে যে কোনো ব্যাংক। নির্ধারিত এ সীমার মধ্যে নগদ ৫ হাজার ডলার ছাড় করতে পারবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এতদিন চিকিৎসা ব্যয়ের বড় অংশই যেত ভারতে। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর দেশটিতে ভিসা পাওয়া জটিল হয়ে গেছে। এখন যেসব দেশে চিকিৎসার জন্য যাচ্ছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবেই খরচ মেটাতে হয়। যে কারণে সীমা বাড়ানো হয়েছে।
ব্যয়ের সীমা বৃদ্ধির ফলে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ব্যাংকগুলো চিকিৎসা ব্যয় বাবদ অর্থ ছাড় করতে পারবে।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন