ঢাকা, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১:৩৩, ১৭ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৩৬, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

সঞ্চয়পত্র-প্রাইজবন্ডসহ ৫ সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক

পাঁচ ধরনের সেবা বন্ধ করে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যেন নির্বিঘ্নে এসব সেবা দেয় তা নিশ্চিত করতে তদারকি বাড়াবে কেন্দ্রিয় ব্যাংক।

সেবাগুলো হলো— সঞ্চয়পত্র, প্রাইজবন্ড বিক্রি, গ্রাহক পর্যায়ে ছেঁড়া-ফাটা নোট বদল, সরকারি চালান সেবা এবং চালান সংক্রান্ত ভাংতি টাকা দেওয়া।

আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস এসব সেবা বন্ধ করে দেবে। পর্যায়ক্রমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঢাকার বাইরে অন্যান্য বিভাগীয় অফিসেও এসব কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এরই মধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়কে এসব সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। গ্রাহকদের এসব বিষয়ে অবহিত করতে শিগগিরই প্রচারণা চালানো হবে।

তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেবা বন্ধ করলেও বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলোতে এসব সেবা পাবেন গ্রাহক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর গত ২২ জুন মতিঝিল অফিসের ক্যাশ বিভাগ সরেজমিন পরিদর্শন করেন। ক্যাশ বিভাগ আধুনিকায়নে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন। এরপর একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কমিটির সুপারিশে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত ১৮ আগস্ট ও ২২ সেপ্টেম্বর করণীয় নির্ধারণে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা। সেখানে আলোচনা হয়, এর আগে দুইজন গভর্নর গ্রাহক সংশ্লিষ্ট সব ধরনের সেবা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তবে ওই সময়ের প্রেক্ষাপটে শেষ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা যায়নি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কার্যালয় আধুনিকায়ন, উন্নত নিরাপত্তাব্যবস্থা-স্বয়ংক্রিয় ভল্ট স্থাপন এবং মূল ভবনের নিরাপত্তাব্যবস্থা উন্নতির জন্য সম্প্রতি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ সেবা দেওয়া কাউন্টারগুলো ৩০ নভেম্বরের পর বন্ধ হয়ে যাবে।

এছাড়া আগামী ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশের ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে নগদ টাকা সঞ্চয়পত্র ও প্রাইজবন্ড কেনাবেচা হবে না। সরকারের পক্ষ থেকে ট্রেজারি চালানও জমা নেওয়া হবে না। পাশাপাশি ভাংতি টাকা এবং ছেঁড়াফাটা নোট পরিবর্তনের সেবাও বন্ধ হয়ে যাবে।

তবে কিছু সেবা মিলবে এগুলো হলো-ধাতব মুদ্রা বিনিময়, স্মারক মুদ্রা বিক্রি, অপ্রচলিত নোটের বিরোধ নিষ্পত্তি ও ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন ইত্যাদি। এইসব সেবাও ভবিষ্যতে কীভাবে বন্ধ হবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে গভর্নর।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ব্যাংক ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব বাণিজ্যিক ব্যাংক, সঞ্চয় অধিদপ্তর ও পোস্ট অফিস থেকে সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়। আর সব ব্যাংক শাখায় প্রাইজবন্ড পাওয়া যায়। ব্যাংকগুলো ছেঁড়াফাটা নোট বদল ও অটোমেটেড চালান সেবাও দেয়। তবে ভোগান্তিমুক্ত সেবা ও আস্থার কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকেই বেশি ভিড় করেন গ্রাহক।

গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী গ্রাহকদের তিন লাখ ৪০ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের বেশি রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিসে। 

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন