ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮:১২, ২৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১৮:১২, ২৬ জুলাই ২০২৫
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা.বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি জ্ঞানে দক্ষ মানবসম্পদ ছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। শিক্ষার গুণগত মান যত উন্নত হবে, জ্ঞানভিত্তিক সমাজের ভিত্তি তত দৃঢ় হবে।
শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর সেনাপ্রাঙ্গণে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক-এর ১১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান বিশ্বের আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির অবস্থান সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা কেবল পুঁথিগত জ্ঞান নয়, বরং এটি মূল্যবোধ, নৈতিকতা এবং নেতৃত্ব গঠনের ক্ষেত্র। তাই শিক্ষার্থীদেরকে মানবিক, যুক্তিবাদী ও সহমর্মিতাসম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দিকেও জোর দিতে হবে।
সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মোহাম্মদ এনায়েতুর রহমান। অনুষ্ঠানে বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারপার্সন স্থপতি মাহবুবা হকসহ ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যবৃন্দ, অনুষদ সদস্য, কর্মকর্তা, অভিভাবক এবং স্নাতক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষা এখন দ্রুত পরিবর্তনশীল। প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে মানুষের জীবনযাত্রা ও সমাজব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসছে। এ পরিবর্তনের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে। পাঠদানের পদ্ধতি, কারিকুলাম ও মূল্যায়নে যুগোপযোগিতা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, গবেষণালব্ধ জ্ঞান প্রয়োগ করে সমাজ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়ে মেধাভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে হবে।
নবীন স্নাতকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আপনাদের অর্জিত জ্ঞান কেবল নিজস্ব উন্নয়নের জন্য নয়, বরং দেশ ও জাতির কল্যাণে ব্যয় করতে হবে। ডিগ্রি যেন কেবল একটি স্বীকৃতির সীমানায় আবদ্ধ না থাকে, বরং হয়ে উঠুক একটি দায়িত্বপূর্ণ অঙ্গীকারের প্রতীক।
তিনি আরও বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য, পরিবেশ, দারিদ্র্য ও বৈষম্যসহ বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ে সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নতুন প্রজন্ম যুক্তি, মানবিকতা ও প্রজ্ঞার আলো হাতে নিয়ে কুসংস্কার ও অজ্ঞতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে, এটাই প্রত্যাশা।
অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার আশা প্রকাশ করে বলেন, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দক্ষ ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ একটি প্রজন্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে।
শেষে, তিনি নবীন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের সাফল্য ও কল্যাণ কামনা করেন এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন