ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১:৪২, ২০ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ২১:৪২, ২০ আগস্ট ২০২৫
উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে দেশীয় সম্পদ আহরণের ওপর জোর দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, ১৯৭২ সালে আমাদের বাজেটের ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হতো। আজ আমরা সেই নির্ভরশীলতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পেরেছি।
তিনি বলেন, বৈশ্বিক সহায়তার প্রবাহ কমছে এবং প্রচলিত দাতাদের অগ্রাধিকার অভ্যন্তরীণ দিকে সরে যচ্ছে। এ অবস্থায় আমাদের সম্পদ আহরণের ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে, যা পুরোপুরি সম্ভব।
বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ভারত যদি তাদের জিডিপির ১৮-২০ শতাংশ রাজস্ব সংগ্রহ করতে পারে, যদি নেপাল ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যেতে পারে, তবে আমরা কেন বর্তমান স্তরে আটকে থাকব?’
তিনি বলেন, সরকার কিছু উদ্যোগ নিচ্ছে, তবে ভেতর থেকেই প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি আমরা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে এক ধর্মঘটের প্রভাব দেখেছি, যেখানে কর্মকর্তারা মূলত স্থিতাবস্থাকে বজায় রাখতে চেয়েছেন।
গর্ভনর বলেন, কিন্তু স্থিতাবস্থা কোনও বিকল্প নয়। আমাদের এই স্থিতাবস্থা ভেঙে আরো বেশি রাজস্ব আহরণের দিকে এগোতে হবে।
তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্নগুলো আমাদের নিজেদেরই করতে হবে। এটি অবশ্যই সম্ভব এবং আমি অর্থায়নের ঘাটতি নিয়ে খুব বেশি উদ্বিগ্ন নই।’
‘এটি শুধু সরকারি অর্থায়নের বিষয় নয়। আমাদের অবশ্যই দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের বেসরকারি পুঁজির শক্তিকেও কাজে লাগাতে হবে’ উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, ‘বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে। শিল্পোন্নত দেশগুলো তাদের নিজেদের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত। আমাদের নিজেদের পথ তৈরি করতে হবে, আর পূর্ব এশিয়া আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে এটি সম্ভব।’
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন