ঢাকা, রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১:০০, ২১ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:০০, ২১ নভেম্বর ২০২৫

সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।

এরপর স্মৃতিস্তম্ভের ভিজিটর বইতে স্বাক্ষর করে শহীদদের বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরাই প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে এগিয়ে আসেন এবং দীর্ঘ লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা ২১ নভেম্বর সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে অংশ নেন। হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।’

প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, শিল্প কারখানায় নিরাপত্তা প্রদানসহ দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র উদ্ধারসহ সকল কার্যক্রমে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানের জন্য আমি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানাই।’ 

তিনি বলেন, গত ১৫ মাসে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নয়নসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। 

সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি জনগণের সাথে একত্রে কাজ করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

প্রধান উপদেষ্টা ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়। ওই সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ শুরু করেন, যা মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় ত্বরান্বিত করে।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন