ঢাকা, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

আল্লাহ আমাদের দেখছেন, সর্বদা লিখছেন দুই অদৃশ্য লিপিকর

ব্যাংকার ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩:১৪, ২০ মে ২০২৫ | আপডেট: ১৩:২১, ২০ মে ২০২৫

আল্লাহ আমাদের দেখছেন, সর্বদা লিখছেন দুই অদৃশ্য লিপিকর

প্রতীকী ছবি

ইসলামের মৌলিক আকীদা হলো— আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্বশক্তিমান এবং সর্বদ্রষ্টা। তিনি সমস্ত সৃষ্টি জগতের স্রষ্টা ও পরিচালক। আমাদের প্রতিটি কাজ, ছোট হোক বা বড়, প্রকাশ্য হোক বা গোপন— আল্লাহ তা জানেন এবং দেখেন। মহান আল্লাহ আমাদের সর্বাবস্থায় দেখছেন—এটি ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। আল্লাহর সান্নিধ্য ও তাঁর সৃষ্টির প্রতি গভীর নজর আমাদের জীবনের প্রতিটি মুহুর্তে প্রভাব ফেলে।

তিনি এমন এক সত্তা যিনি আছেন সবকিছুর ওপরে, অথচ তাঁর দৃষ্টি সবকিছুর গভীরে পৌঁছে। তিনি আমাদের হৃদয়ের স্পন্দন জানেন, জানেন আমাদের গোপন ও সুপ্ত বাসনা, চিন্তা- সংকল্প। এই চেতনা কেবল একটি বিশ্বাস নয়, বরং এটি একজন মুমিনের জীবনের প্রতিটি কাজে নিয়ন্ত্রণকারী একটি শক্তি। আল্লাহর এই দৃষ্টির অনুভব নিয়ে যারা জীবন পরিচালনা  করেন, সে কখনো অন্যায় করতে পারে না, পাপ করতে ভয় পায়। এ বিশ্বাসই একজন মুমিনকে আল্লাহভীতির মাধ্যমে সৎ পথে পরিচালিত করে।

আল্লাহ কুরআনে ঘোষণা করেছেন:

‘হে নবী! আমার বান্দারা যদি আমার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে তখন তাদের বলো, আমি তো তাদের খুব কাছেই আছি। প্রার্থনায় আমাকে যে ডাকে, আমি তার ডাক শুনি, তার ডাকে সাড়া দেই। তাই আমাকে বিশ্বাস করা ও আমার ডাকে সাড়া দেয়া অর্থাৎ আমার দেয়া ধর্মবিধান অনুসরণ করা তাদের কর্তব্য। তাহলেই তারা সত্যপথে চলতে পারবে।’ (সুরা বাকারা: ১৮৬)

‘আমিই মানুষ সৃষ্টি করেছি। আমি জানি তার প্রবৃত্তি (নফস) তাকে কী সলাপরামর্শ দেয়। আমি তার ঘাড়ের শিরার চেয়েও কাছে রয়েছি। মনে রেখো, তার সকল তৎপরতা রেকর্ড রাখার জন্য রয়েছে ডানে-বামে মিলিয়ে (দ্বৈত ব্যবস্থায়) দুজন অদৃশ্য লিপিকর। মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করুক, তা রেকর্ড করার জন্য রয়েছে সদা-উপস্থিত অদৃশ্য লিপিকর।’ (সুরা কাফ: ১৬, ১৭ ও ১৮)

‘তোমরা গোপনে কানে কানে বলো বা প্রকাশ্যে উচ্চকণ্ঠে বলো, আল্লাহর কাছে সবই সমান। তিনি তো অন্তর্যামী। আশ্চর্য! যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি তোমার মনের ভেদ জানবেন না? তিনি সূক্ষ্মদর্শী প্রজ্ঞাময়, সব বিষয়ে অবগত।’ (সুরা মূলক: ১৩, ১৪)

‘আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই। তিনি শাশ্বত চিরঞ্জীব। বিশ্বপ্রকৃতির সর্বসত্তার ধারক। তিনি তন্দ্রা-নিদ্রাহীন সদাসজাগ। মহাকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুর মালিক। তাঁর সদয় অনুমতি ছাড়া তাঁর কাছে সুপারিশ করার সাধ্য কারো নেই। দৃশ্যমান বা অদৃশ্য, অতীত বা ভবিষ্যৎ—সৃষ্টির সবকিছুই তিনি জানেন। তিনি যতটুকু জানাবেন, এর বাইরে তাঁর জ্ঞানের সীমানা সম্পর্কে ধারণা করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাঁর আসন, তাঁর কর্তৃত্ব পৃথিবী ও নভোমণ্ডলের সর্বত্র বিস্তৃত। আর তা সংরক্ষণে তিনি অক্লান্ত। তিনি সর্বোচ্চ সুমহান।’(সুরা বাকারা: ২৫৫)

‘(হে নবী!) বলো, তোমরা তোমাদের মনের কথা গোপন রাখো বা প্রকাশ করো, আল্লাহ সবই জানেন। মহাকাশ ও পৃথিবীর পরতে পরতে যা-কিছু আছে, তিনি তা-ও জানেন। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ (সুরা আলে ইমরান: ২৯)

‘তুমি কি এ বিষয়ে সচেতন নও যে, মহাকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুই আল্লাহর জ্ঞানের আওতাভুক্ত? তিন জনের মধ্যে এমন কোনো গোপন সলাপরামর্শ হয় না, যেখানে চতুর্থ জন হিসেবে তিনি হাজির না থাকেন; পাঁচ জনের মধ্যেও কোনো পরামর্শ হয় না, যেখানে ষষ্ঠ জন হিসেবে তিনি হাজির না থাকেন। সংখ্যায় এর চেয়ে কম হোক বা বেশি, ওরা যেখানেই থাকুক না কেন আল্লাহ ওদের সঙ্গে রয়েছেন। ওরা যা-ই করুক, মহাবিচার দিবসে ওদেরকে তা বিস্তারিত জানানো হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল।’ (সুরা মুজাদালা: ৭)

‘নিশ্চয়ই কখন কেয়ামত হবে তা শুধু আল্লাহই জানেন। তিনি মেঘ থেকে বৃষ্টিবর্ষণ করেন। তিনি জানেন জরায়ুতে কী আছে। অথচ কেউই জানে না আগামীকাল তার জন্যে কী অপেক্ষা করছে এবং কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু হবে। শুধু আল্লাহই সর্বজ্ঞ, সব বিষয়ে অবহিত।’ (সুরা লোকমান: ৩৪)

‘গায়েবের সকল জ্ঞানের চাবিকাঠি আল্লাহর হাতে। তিনি ছাড়া এ বিষয়ে আর কেউ জানে না। জমিনে বা পানির অভ্যন্তরে যা-কিছু আছে সবই তিনি অবগত। তাঁর অগোচরে গাছের একটি পাতাও পড়ে না। তাঁর অজ্ঞাতসারে মাটির ভেতরে কোনো শস্যদানা অঙ্কুরিত হয় না। আর্দ্র বা শুষ্ক প্রতিটি বস্তুর প্রকৃতি লিপিবদ্ধ রয়েছে উন্মুক্ত কিতাবে (দৃষ্টিমানদের পড়ার জন্য)।’ (সুরা আনআম: ৫৯)

‘হে নবী! যে পরিস্থিতিতেই তুমি থাকো এবং কোরআনের যে-কোনো অংশ তেলাওয়াত করো আর (হে মানুষ!) তোমরা যে-কোনো কাজই করো না কেন, (মনে রেখো) কাজে মনোনিবেশ করার মুহূর্ত থেকেই আমি তার সাক্ষী। মহাকাশ ও পৃথিবীর অণুপরিমাণ জিনিসও তোমার প্রতিপালকের দৃষ্টির বাইরে নেই। এর চেয়েও ক্ষুদ্র ও এর চেয়ে বড় সবকিছুই সুস্পষ্ট কিতাবে লিপিবদ্ধ রয়েছে।’ (সুরা ইউনুস: ৬১)

‘তিনি বললেন, হে আদম! তাদেরকে এগুলোর নাম বলে দাও। তখন আদম সবকিছুর নাম বলে দিল। এরপর আল্লাহ ফেরেশতাদের বললেন, আমি কি তোমাদের বলি নি, মহাবিশ্বের সবকিছুর অন্তর্নিহিত বাস্তবতা শুধু আমিই জানি এবং তোমরা যা প্রকাশ করো বা গোপন রাখো তা-ও আমার জানা?’ (সুরা বাকারা: ৩৩) 

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের সঙ্গে আছেন, যারা আল্লাহভীরু ও অনুগ্রহকারী।’ (সুরা নাহল: ১২৮)

‘তোমরা ভয় পেয়ো না, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের সঙ্গে আছি, আমি শুনি ও দেখি।’ (সুরা ত্ব-হা: ৪৬)

‘যখন দুই দল পরস্পরকে দেখল, মুসার অনুসারীরা বলল, নিশ্চয়ই আমরা ধরা পড়ে যাব। মুসা বলল, কখনোই না। নিশ্চয়ই আমার প্রভু আমার সঙ্গে আছেন। তিনি আমাকে পথ দেখাবেন। ’ (সুরা আশ-শুরা: ৬২)

যা-কিছু দৃশ্যমান আর যা-কিছু সৃষ্টির বুদ্ধির অগম্য, সবকিছুই তিনি পরিজ্ঞাত। তিনি মহাপরাক্রমশালী, পরমদয়ালু। (সুরা: সেজদা: ৬)

‘যখন তারা গুহায় ছিল, তখন সে তার সঙ্গীকে বলেছিল, বিষণ্ন হয়ো না। আল্লাহ আমাদের সঙ্গে আছেন। ’ (সুরা তাওবা: ৪০)

‘তবে কি সে জানে না যে, আল্লাহ সবকিছু দেখছেন?’ (সুরা আলাক: ১৪)

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাকাশ ও পৃথিবীর সকল গোপন রহস্য সম্পর্কে অবগত। আর তোমরা যা করো আল্লাহ সবই দেখেন।’ (সুরা হুজুরাত: ১৮)

(আসলে আল্লাহর জন্য) ‘তোমাদের সকলের সৃষ্টি ও পুনরুত্থান একটিমাত্র প্রাণের সৃষ্টি ও পুনরুত্থানের মতোই (অতিসামান্য কাজ)। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব শোনেন, সব দেখেন।’ (সুরা লোকমান: ২৮)

‘(মনে রেখো) মহাবিচার দিবসে তোমাদের আত্মীয়স্বজন, এমনকি তোমাদের সন্তানেরাও কোনো উপকারে আসবে না। সেদিন তিনি তোমার (আমল অনুসারে) ফয়সালা করবেন। তোমরা যা করো, তিনি তা দেখেন।’(সুরা মুমতাহানা: ৩)

‘আমি মক্কা অঞ্চলে তোমাদের বিজয় দান করার পর ওদের হাতকে তোমাদের বিরুদ্ধে এবং তোমাদের হাতকে ওদের বিরুদ্ধে নিরস্ত করেছি। তোমরা যা-কিছু করো আল্লাহ তা দেখেন।’ (সুরা ফাতাহ: ২৪)

‘হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহ নির্দেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা সব আমানত তার মালিককে ফিরিয়ে দেবে। যখন মানুষের বিরোধ মীমাংসা করবে তখন বিচারক হিসেবে ন্যায়বিচার করবে। আল্লাহর উপদেশ সবসময়ই উত্তম। আল্লাহ সব শোনেন, সব দেখেন।’ (সুরা নিসা: ৫৮)

‘অতএব হে নবী! সকল প্রতিকূলতার মুখে তুমি ধৈর্য ধরো। আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সবসময় সত্য বলে প্রমাণিত। তুমি তোমার ভুলত্রুটির জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করো এবং সকাল-সন্ধ্যায় তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করো। ৫৬. মনে রেখো, নিজেদের কাছে কোনো দলিল না থাকা সত্ত্বেও যারা আল্লাহর বাণী ও উপদেশ নিয়ে বিতর্ক করে, তাদের অন্তর অতিদাম্ভিকতায় জর্জরিত। তারা কখনো সফলকাম হবে না। অতএব তুমি শুধু আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয়ই তিনি সব শোনেন, সব দেখেন!’ (সুরা মুমিন: ৫৫)

‘তোমরা যদি তোমাদের কথা গোপনে বলো বা প্রকাশ্যে, যদি তোমরা রাতের আঁধারে লুকিয়ে থাকো বা দিনের আলোয়—আল্লাহ সব জানেন।’ (সুরা রা’দ: ১০)

‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর গায়েবের জ্ঞান রাখেন এবং তিনি জানেন যা কিছু তোমরা করো।’ (সুরা হুজুরাত: ১৬)

‘তোমরা যেখানেই থাকো, আল্লাহ তোমাদের সঙ্গে আছেন; আর তোমরা যা করো, আল্লাহ তা দেখেন।’(সুরা হাদীদ: ৪)

‘সকল প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মহাকাশ ও পৃথিবীর সবকিছুর মালিক। আর আখেরাতেও সকল প্রশংসাই তাঁর। তিনি প্রজ্ঞাময়, সব বিষয়ে ওয়াকিবহাল। তিনি জানেন জমিনে যা প্রবেশ করে, জানেন জমিন থেকে যা বেরিয়ে আসে। তিনি জানেন যা-কিছু আকাশ থেকে অবতীর্ণ হয়, জানেন যা-কিছু আকাশে উঠে যায়। তিনি পরমদয়ালু, অতীব ক্ষমাশীল।’ (সুরা সাবা: ১,২)

প্রাত্যহিক জীবনে আল্লাহর দেখার প্রভাব

একজন মুসলিম যখন বিশ্বাস করেন যে আল্লাহ তাকে সর্বদা দেখছেন তখন তার প্রতিটি কাজ সততা, ন্যায্যতা ও নৈতিকতার ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। এমন বিশ্বাস ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে সৎ ও ন্যায়পরায়ণ আচরণের উৎস।

আল্লাহর প্রতি আত্মসমর্পণ ও আত্মবিশ্বাস

যখন আমরা জানি যে আল্লাহ আমাদের দেখছেন, তখন আমাদের আত্মসমর্পণ ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাসকে দৃঢ় করে।

ইহসান বা আল্লাহর উপস্থিতি অনুভব করা

হাদিসে রাসুলুল্লাহ (স.) ইহসানের সংজ্ঞা দিয়েছেন, ‘ইহসান হলো, তুমি আল্লাহর এবাদত এমনভাবে করো যেন তুমি তাঁকে দেখছো। যদি তুমি তাঁকে না-ও দেখতে পারো, (তবুও জানো) তিনি তো তোমাকে দেখছেন।’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)

যখন কেউ দেখে না, তখনো আল্লাহ দেখেন

অনেক সময় মানুষ পাপ কাজ করে একা থাকার সুযোগে। তখন সে ভাবে, কেউ তো দেখছে না। কিন্তু একজন ঈমানদার বিশ্বাস করেন আল্লাহ আমাকে দেখেন।

আল্লাহ আমাদের কাজ দেখেন — এটি যেমন এক ভয়াবহ সতর্কতা, তেমনি এক অসীম অনুপ্রেরণাও বটে। কেননা একজন মুমিন যখন নিঃসঙ্গতায় ভালো কাজ করে, কাউকে সাহায্য করে, আত্মত্যাগ করে- আর কেউ তা দেখে না, তখন সে জানে, আল্লাহ দেখছেন, তিনিই এর প্রতিদান দিবেন।

মহান প্রভু আমাদের সর্বাবস্থায় দেখছেন—এটি আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা, ন্যায্যতা ও নৈতিকতার প্রতি অনুপ্রাণিত করে। এই বিশ্বাস আমাদের আত্মবিশ্বাস ও আত্মসমর্পণকে দৃঢ় করে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও বিশ্বাসকে শাণিত করে।

‘আল্লাহ আমাকে দেখছেন’—এই বিশ্বাস একজন মানুষকে রাতের অন্ধকারেও আলোর মতো সৎ করে তোলে। সে নিজের আত্মার কাছে দায়বদ্ধ থাকে। মানুষ দেখুক বা না দেখুক, সে আল্লাহর ভয় নিয়ে পথ চলে। আল্লাহকে ভুলে যাওয়া মানে নিজ সত্তাকে ভুলে যাওয়া। 

আল্লাহপাক আমাদের এত নিকটে তারপরও আমরা তার রহমত থেকে বঞ্চিত থেকে যাই। এর কারণ হল- আমার যে একজন সৃষ্টিকর্তা আছেন, তিনি অন্তর্যামী এ বিষয়টা নিয়ে কখনও আমরা ভাবি না। আর এ কারণেই মহান স্রষ্টার রহমত থেকে আমরা বঞ্চিত হই। 

হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি তার নিজ সত্তার পরিচিতি লাভ করতে পেরেছে সে মহান প্রভুকে চিনতে পেরেছে।’

এমএ/
 

আরও পড়ুন