ঢাকা, রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২১:০৪, ৪ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:০৫, ৪ নভেম্বর ২০২৫

আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডিকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসিকে জামিনদার দেখিয়ে ‘আইএফআইসি গ্যারান্টেড শেরপুর টাউশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ ইস্যুর ক্ষেত্রে আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘন হওয়ায় ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ আলম সারওয়ারকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম এ তথ্য জানিয়েছেন। বিএসইসির ৯৮০তম কমিশন সভায় জরিমানার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘আইএফআইসি গ্যারান্টেড শেরপুর টাউশিপ গ্রিন জিরো কুপন বন্ড’ শীর্ষক দেড় হাজার কোটি টাকা অভিহিত মূল্যের ও এক হাজার কোটি টাকা ইস্যু মূল্যের বন্ডটির জামিনদার (গ্যান্টার) হিসেবে আইএফআইসি দায়িত্ব পারল করছে। কিন্তু, এই বন্ডটির আইএফআইসি ব্যাংকের নয়, বরং এটি রিয়েল স্টেট কোম্পানি শেরপুর টাউনশিপ লিমিটেডের (এসটিএল) ইস্যু করা একটি বন্ড।

কিন্তু বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে বন্ডের নাম হিসেবে ‘আইএফআইসি আমার বন্ড’ নামটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের ধারণা দেয় যে, এ বন্ডটি আইএফআইসি ব্যাংক ইস্যু করেছে। অথচ আইএফআইসি ছিলো ব্যাংকটির শুধু গ্যারান্টার।

এভাবে বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত করে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা হয়েছে, যা সিকিউরিটিজ আইন ও বিধিবিধানের লঙ্ঘন। এই প্রচারণার মাধ্যমে আইন ও বিধি লঙ্ঘন হওয়ার দায়ে আইএফআইসি ব্যাংকের সাবেক এমডি শাহ আলম সারওয়ারকে তাই ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।

এর আগে গত ৩০ জুলাই বিএসইসির ৯৬৫তম কমিশন সভায় শাহ আলম সারওয়ারের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিএসইসি। ওই সভায় বন্ডটির জালিয়াতির কারণে ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি সালমান এফ রহমান এবং বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে আজীবন নিষিদ্ধ করে বিএসইসি।

এছাড়া সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানকে আজীবন, বিএসইসির সাবেক কমিশনার শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ ও আইএফআইসি ইনভেস্টমেন্টের সাবেক সিইও ইমরান আহমেদকে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ করা হয়। একই সঙ্গে সালমান এফ রহমানকে ১০০ কোটি টাকা, আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমানকে ৫০ কোটি টাকা ও ক্রেডিট রেটিং প্রদানকারী ইমার্জিং ক্রেডিট রেটিংকে ১০ লাখ টাকা জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন