ঢাকা, রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ০১ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ কারাগারে

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২০:৪১, ৬ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২০:৪২, ৬ নভেম্বর ২০২৫

এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ কারাগারে

৮৫৭ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার অন্যতম আসামি এক্সিম ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

গত ১৭ আগস্ট ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করে এক্সিম ব্যাংকের ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারসহ ২১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক। আসামির তালিকায় নজরুল ইসলাম মজুমদারের স্ত্রী পরিচালক নাসরিন ইসলাম রয়েছেন।

দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ সাব্বির ফয়েজ আজ বৃহস্পতিবার এ মামলায় ফিরোজ হোসেনকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে এই মামলার অপর আসামি নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে ২০২৪ সালে ১ অক্টোবর গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল ডিবি। আজ আরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো।

মামলার আসামিরা হলেন– মদিনা ডেটস অ্যান্ড নাটসের প্রোপাইটার মোজাম্মেল হোসাইন, এক্সিম ব্যাংকের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা ব্যবস্থাপক মো. আসাদ মালেক, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দ্বিতীয় কর্মকর্তা মোসা. জেবুন্নেসা বেগম, সিনিয়র অফিসার ও ইনভেস্টমেন্ট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট অফিসার কাওসার আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরমান হোসেন, সাবেক এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আনিছুল আলম, অ্যাডিশনাল ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইছরাইল খান ও মো. মঈদুল ইসলাম, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাকসুদা খানম ও মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া।

এ ছাড়া সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ মো. আব্দুল বারি, সাবেক অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিএফও মো. হুমায়ুন কবীর, সাবেক পরিচালক ও বর্তমানে চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পরিচালক মো. নুরুল আমিন, পরিচালক অঞ্জন কুমার সাহা, সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মো. নাজমুস ছালেহিন এবং সাবেক স্বতন্ত্র পরিচালক মিয়া মোহাম্মদ কাওছার আলমও রয়েছেন তালিকায়।

তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারা, ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ৫(২) ধারা এবং ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

দুদক জানায়, অবৈধভাবে ঋণ অনুমোদনের সুপারিশ করে, ঋণ অনুমোদন দিয়ে, ঋণ বিতরণ করে এবং ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে এক্সিম ব্যাংক পিএলসি, হেড অফিস করপোরেট শাখা, ঢাকার ৮৫৭ কোটি ৯৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ এবং আত্মসাৎ করা টাকার অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা গোপন করতে বিভিন্ন হিসাবে স্থানান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগে মামলাটি হয়।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন