ঢাকা, রোববার, ২০ জুলাই ২০২৫

৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৪ মুহররম ১৪৪৭

টানা তৃতীয়বার প্রাইম ব্যাংকের ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং’ স্বীকৃতি অর্জন

ব্যাংকার প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১১:২৭, ২০ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১১:২৭, ২০ জুলাই ২০২৫

টানা তৃতীয়বার প্রাইম ব্যাংকের ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং’ স্বীকৃতি অর্জন

টেকসই উন্নয়নের পথে বাংলাদেশের ব্যাংক খাতে একটি অনুকরণীয় নাম হয়ে উঠছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। টানা তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সাসটেইনেবিলিটি রেটিং-২০২৪’ স্বীকৃতি পেয়েছে বেসরকারি খাতের ব্যাংকটি। এ ধারাবাহিক স্বীকৃতি প্রাইম ব্যাংকের টেকসই ব্যাংকিংয়ে দৃঢ় ও দীর্ঘমেয়াদি প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

এই স্বীকৃতি শুধু একটি ব্যাংকের অর্জন নয়—এটি অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব, সামাজিকভাবে দায়িত্বশীল এবং দীর্ঘমেয়াদে সহনশীল করে তোলার প্রতিশ্রুতির বাস্তব উদাহরণ। প্রাইম ব্যাংকের এই অর্জন এসেছে তাদের কয়েকটি নির্দিষ্ট ও দূরদর্শী উদ্যোগের কারণে।

ব্যাংকটি অনেক আগেই বুঝেছে, শুধু মুনাফার পেছনে ছোটার সময় ফুরিয়েছে। এখন সময় পরিবেশ, সমাজ এবং সুশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে টেকসই ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার। এ কারণেই তারা গ্রিন রিফাইন্যান্সিং, টেকসই কোর ব্যাংকিং অপারেশন এবং কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা খাতে বিনিয়োগ করে আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালে ‘সাসটেইনিবিলিটি রেটিং’ চালু করে, যাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ তাদের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে পরিবেশ, সামাজিক ও সুশাসন (ইএসজি) নীতিমালা বাস্তবায়নে উৎসাহিত হয়। এই রেটিং মূলত পাঁচটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে দেওয়া হয়, সেগুলো হলো- সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স ইনডেক্স, সিএসআর কার্যক্রম, গ্রিন প্রজেক্ট ফাইন্যান্সিং, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি ইনডেক্স এবং ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি।

এই গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলোতে ধারাবাহিকভাবে শ্রেষ্ঠত্ব দেখিয়ে প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে একটি ভবিষ্যৎমুখী ও পরিবেশবান্ধব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ব্যাংকটি টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশগত দায়িত্ব পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রাইম ব্যাংকের এই দৃষ্টিভঙ্গি দেশের অন্যান্য ব্যাংকের জন্যও এক ধরনের বার্তা—বিনিয়োগের পাশাপাশি পরিবেশ ও সমাজে দায়বদ্ধতা থাকলেই ভবিষ্যৎ সত্যিকারে টেকসই হয়।

এএ

ব্যাংকার প্রতিবেদন

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন