ব্যাংকার প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০:৩৬, ২৬ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ২০:৩৬, ২৬ জুলাই ২০২৫
তরুণদের ব্যাংকিং খাতে আগ্রহী করে তুলতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সেমিনারের আয়োজন করেছে প্রাইম ব্যাংক। এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিতকরণ এবং তরুণদের জন্য ব্যাংকিং পেশায় ক্যারিয়ার গঠনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করা।
সম্প্রতি ‘এমপাওয়ারিং ইয়ুথ: এনগেজিং অ্যান্ড ইন্সপায়ারিং ইয়ুথ ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ থেকে অংশ নেন ২৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী।
সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি ও সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব। এর মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের ব্যাংকিং খাত সম্পর্কে সচেতন করা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ধারণা দেয়া ও ভবিষ্যতে এই খাতে চাকরি কিংবা উদ্যোক্তা হওয়ার সম্ভাবনার বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও প্রস্তুতি নিয়েও আলোচনা হয়।
আয়োজনে শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল- ‘প্রাইম ইয়্যুথ অ্যাকাউন্ট’ বিষয়ক একটি বিশেষ সেশন, যেখানে প্রাইম ব্যাংকের কর্মকর্তারা শিক্ষাবান্ধব এই ব্যাংকিং সেবার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। মাত্র ১০০ টাকা জমা দিয়ে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ইভেন্টস্থল থেকেই অন-স্পট অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ পান। এই অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বার্ষিক ৪ শতাংশ হারে মুনাফা অর্জনের সুযোগ পান, যা দৈনিক ভিত্তিতে হিসাব করা হয় এবং বছরে দুবার পরিশোধ করা হয়।
এছাড়াও, অ্যাকাউন্টধারীরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ডেবিট কার্ড, চেকবই, ইন্টারনেট ব্যাংকিং এবং এসএমএস অ্যালার্ট সুবিধা উপভোগ করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ড. মো. সাজেদুল করিম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের উপদেষ্টামন্ডলী অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক এবং অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল ফেরদৌস চৌধুরী।
প্রাইম ব্যাংক পিএলসি-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মি. এম. এম. মাহবুব হাসান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অফ ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন অ্যান্ড স্কুল ব্যাংকিং, মিস শায়লা আবেদিন, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অফ লাইয়াবিলিটি, কনজ্যুমার ও এসএমই ব্যাংকিং, মি. নাজিম এ. চৌধুরী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও হেড অফ কনজ্যুমার ও এসএমই ব্যাংকিং।
এম. নাজিম এ. চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘এ ধরনের সেশনগুলোর মূল লক্ষ্যই হলো শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতির সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া। শুধু অ্যাকাডেমিক পড়াশোনা যথেষ্ট নয়। একজন শিক্ষার্থীকে নিজের দক্ষতা বাড়াতে হবে- কম্পিউটার, ভাষাজ্ঞান, উপস্থাপন কৌশল, যোগাযোগ দক্ষতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে। এগুলো পেশাগত ও ব্যক্তিজীবনে অনেক বড় সহায়ক হয়ে ওঠে। সাক্ষাৎকার বা যেকোনো আলোচনায় নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার ক্ষমতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বক্তৃতা ও নিজের চিন্তা প্রকাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এতে একজন শিক্ষার্থী আরও আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠবে।’
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য ড. সাজেদুল করিম বলেন, ‘শাবিপ্রবির প্রতিটি সংগঠন সীমিত পৃষ্ঠপোষকতা পেলেও গুণগত মান বজায় রেখে সফলভাবে নানা আয়োজন করে আসছে। এই ক্লাবগুলোর কার্যক্রম প্রশংসনীয় এবং শিক্ষার্থীদের জন্য সময়োপযোগী। বর্তমানে আউটকাম বেইজড এডুকেশনের আওতায় শিক্ষার্থীরা গবেষণায় মনোযোগী হচ্ছেন। অনেকে থিসিসের ফলাফল আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উপস্থাপন করতে চাইলেও অর্থায়নের অভাবে অনেক সময় তা সম্ভব হয় না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রিসার্চ স্কলারশিপ বা গিফটেড স্কলারশিপ প্রবর্তন অত্যন্ত জরুরি। এই প্রেক্ষাপটে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উন্নয়নে কর্পোরেট সেক্টরকে ডেভেলপমেন্ট ও সিএসআর পার্টনার হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে।
সেমিনারে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন দিক নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উত্তর দেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
এএ
ব্যাংকার প্রতিবেদন